পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি :
পীরগঞ্জের ছাতুয়া দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসার সুপারের অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ করায় সুপারের নির্দেশে মাদ্রাসাটির নৈশপ্রহরী আব্দুল জলিলসহ তার লোকজন অভিযোগকারী হারুনুর রশিদসহ ৪ জনকে ধারালো ছোরা দিয়ে কুপিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ঘটনায় জয়নুল আবেদীন নামে এক আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সেইসাথে পুলিশ একটি ধারালো ছোরাও উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ছাতুয়া দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসার সুপার একেএম শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১২টি অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উল্লেখ করে ছাতুয়া গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে হারুনুর রশিদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সহ বিভিন্ন শিক্ষা দফতরে লিখিত অভিযোগ করেন। ইউএনওর নির্দেশে গত ৭ জানুয়ারি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহনাজ ফারহানা আফরোজ তার কার্যালয়ে অভিযোগের তদন্ত করেন। এ সময় অভিযোগকারী হারুনুর রশিদ ওই সুপারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অডিও, ভিডিওসহ বিভিন্ন তথ্যাদি দেন। এতে সুপার ক্ষিপ্ত হয়ে তার মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী আব্দুল জলিল মিয়া ও তাঁর ভাড়াটে লোকজনকে লেলিয়ে দিয়ে ৮ জানুয়ারি অভিযোগকারী হারুনুর রশিদকে ওই মাদ্রাসা সংলগ্ন রাস্তায় একা পেয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এ সময় তসকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে হারুনের স্কুল পড়ুয়া ছেলে শাহাদত হোসেন, স্ত্রী রাজিয়া বেগম এবং তাদের সোহেল মিয়াকেও এলোপাতাড়ি মারপিট করে। ওই ঘটনায় এসআই মাসুদ রানা ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায় এবং তাদের ফেলে যাওয়া ছোরা ও লাঠি উদ্ধার করেন। বুধবার রাতে হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে নৈশপ্রহরী আব্দুল জলিল, জয়নুল আবেদীন এবং সুপারকে এজাহারনামীয় আসামী করে থানায় মামলা (মামলা নং১০, তারিখ-৮/১/২৫) করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ ছাতুয়া গ্রামে গিয়ে ধাওয়া করে জয়নুল আবেদীন কে গ্রেফতার করে। এ সময় নৈশপ্রহরী নদীতে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়। আর হুকুমদাতা আসামী সুপার মাদ্রাসাতেই যাননি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাসুদ রানা বলেন, মামলার পরই রাতে সুপারকে গ্রেফতারে তার বাড়ী জাফরপাড়া গ্রামে অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু তিনি পলাতক।